৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর কি রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে না? কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বাড়ল ধন্দ

আনলক ফোরের (Unlock 4) জন্য নয়া গাইডলাইন ঘোষণা করল কেন্দ্র। শনিবারই জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে সমপ্ত কনটেনমেন্ট জোনে চলবে লকডাউন। একই সঙ্গে স্পষ্ট করে দেওয়া হল, কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনও রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কনটেনমেন্ট জোন ব্যতীত আলাদা করে লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে না।
আনলক পর্বের গোড়া থেকেই দেশজুড়ে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। তবে দ্রুত করোনা রোগী চিহ্নিতকরণের জন্য জোর দেওয়া হয় ট্র্যাকিং, ট্রেসিং ও টেস্টিংয়ে। সেই সঙ্গে বাংলা-সহ একাধিক রাজ্য সংক্রমণের চেন ভাঙতে সপ্তাহে এক কিংবা দু’দিন করে পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আগস্ট মাসে সেই নিয়ম অনুসরণ করে সপ্তাহে সর্বোচ্চ দু’দিন করে পূর্ণ লকডাউন হয়েছে। রাজ্য সরকারের ঘোষিত দিন অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্ট চলতি মাসের শেষ পূর্ণ লকডাউনের দিন। আবার ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। তার মধ্যে ৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর থাকবে পূর্ণ লকডাউন। কিন্তু এরই মধ্যে কেন্দ্রের ঘোষণায় তৈরি হল ধন্দ।
কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কনটেনমেন্ট জোনের (Containment Zone) বাইরে স্থানীয় লকডাউনের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। কোনও রাজ্যের কোনও জেলা কিংবা শহর অথবা গ্রামও নিজেদের মতো করে সংক্রমক এলাকার বাইরে লকডাউন জারি করতে পারবে না। তার জন্য আগেভাগে কেন্দ্রকে জানাতে হবে। মোদি সরকার অনুমতি দিলে তবেই লকডাউন ঘোষণা করা যাবে। তাই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আগামী ৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে লকডাউন হবে না? রাজ্য সরকারের তরফে এ নিয়ে বিবৃতি দিলে তবেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
দেশজুড়ে চলছে আনলক পর্ব। অর্থাৎ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে দেশকে ফেরাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। শপিং মল থেকে ধর্মীয় স্থান- ইতিমধ্যেই ছাড় পেয়েছে এই ক্ষেত্রগুলি। শনিবার নয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে মেট্রো রেল পরিষেবা। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া সর্বত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তাদের উপর নজর রাখতে হবে। সামাজিক, শিক্ষামূলক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বিনোদনমূলক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০০ জন করে জমায়েত হতে পারবেন। তবে আপাতত খুলছে না সিনেমা হল, থিয়েটার, বিনোদন পার্ক ও সুইমিং পুল।

UNLOCK 4: দেশ জুড়ে কী কী চালু হচ্ছে একনজরে

দেশ জুড়ে সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে আনলক ৪। শনিবার তারই নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেখানে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে একাধিক পরিষেবায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

কী কী খোলা হল, রইল সেই তালিকা:

#সামাজিক, বিনোদন মূলক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে। ১০০ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে।

#২১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হবে ওপেন এয়ার থিয়েটার।

সেপ্টেম্বর থেকে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে ৫০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে স্কুলে হাজির হতে বলা হয়েছে। সেখান থেকেই অনলাইনে ক্লাস করানো হবে। টেলি কাউন্সেলিংয়ের কাজও হবে।

#৭ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে মেট্রো পরিষেবা। ধাপে ধাপে সেই পরিষেবা খুলে দেওয়া হবে।

#এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে অথবা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে যানবাহনগুলির আর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। কোনও আলাদা পারমিটও লাগবে না।

মিলবে জোড়া সরকারি সুবিধা! গ্রাহকদের জন্য বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

 প্রধানমন্ত্রীর জনধন প্রকল্পে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলেই মিলবে আরও সুবিধা। শুক্রবার এমনই ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। এদিন তিনি জানিয়েছেন, জনধন প্রকল্পের (Jan Dhan Yojana) অ্যাকাউন্ট থাকলে সেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের দুই বিমা প্রকল্পের সুবিধাও দেওয়া হবে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৩৫ কোটি গ্রাহক এই সুবিধা পাবেন।
নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বছরে অল্প প্রিমিয়ামে দু’টি বিমা প্রকল্প চালু করে। সাধারণ বিমাটির নাম প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা প্রকল্প এবং দুর্ঘটনা বিমাটির নাম দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা প্রকল্প। জন ধন প্রকল্পের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাঁদের রয়েছে তাঁরাও এই দুই প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারবেন বলে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৮ থেকে ৫০ বছরের যে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন। বছরে মাত্র ৩৩০ টাকার প্রিমিয়াম দিতে হয়। এতে গ্রাহকের মৃত্যু হলে দু লক্ষ টাকা মেলে। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সের ব্যক্তিরা। এই প্রকল্পে বছরে প্রিমিয়াম মাত্র ১২ টাকা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা কর্মক্ষমতা চলে গেলে মেলে দু লক্ষ টাকা এবং আংশিক কর্মক্ষমতা খোয়ালে মেলে এক লক্ষ টাকা মেলে। বলাইবাহুল্য, এরফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ভারতীয়রা বিমা সুবিধা পাবেন। এখানেই শেষ নয়। এই অ্যাকাউন্টের মালিকদের আরও বেশকিছু সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। তার মধ্যে অন্যতম হল রেকারিংয়ের সুবিধা দেওয়া। সুযোগ মিলবে ডিজিটাল লেনদেনেরও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিহারের নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। সেই বৈতরণী পার করতেই একের পর েক জলদরদী ঘোষণা করছে কেন্দ্র।

সেপ্টেম্বর মাসে লকডাউনের নতুন দিন ঘোষণা করলেন মমতা


 আগামী মাসের অর্থাৎ সেপ্টেম্বর এর লকডাউনের নতুন দিন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ বুধবার নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিক সম্মেলন করে লকজাউনের দিন ঘোষণা করলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, সেপ্টেম্বর মাসের ৭, ১১ ও ১২ তারিখ রাজ্যে ফের পূর্ণ লকডাউন হবে৷

বিস্তারিত আসছে —

মোবাইল সিম নিয়ে আসতে চলেছে নতুন নিয়ম ! জানুন বিস্তারিত

এবার সহজেই প্রিপেইড মোবাইল নম্বরকে বদলে নিতে পারেন পোস্টপেইড কানেকশনে। মোবাইল ফোন গ্রাহকদের এবার প্রিপেইড সিম কার্ড পোস্টপেইড কানেকশনে বদলানোর জন্য আর দ্বিতীয়বার যাচাই বা ভেরিফিকেশন করাতে হবে না।

এর জন্য এবার দরকার পড়বে শুধুমাত্র একটি OTP-র, যা দিয়ে গ্রাহকদের কাজ হয়ে যাবে। বলা হচ্ছে যে একটি ওটিপি দিয়ে গ্রাহকদের পোস্টপেইড কানেকশন চালু হয়ে যাবে।

গ্রাহকের মোবাইলে আসা ওটিপি থেকেই যাচাই বা ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে। আর বিলিংয়ের জন্য গ্রাহকদের নিজের ঠিকানা প্রমান কোম্পানির ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারবেন।


গ্রাহকদের যাচাই বা ভেরিফিকেশনের জন্য টেলিকম বিভাগ নতুন নির্দেশিকা তৈরি করে নিয়েছে। যা এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জারি করা হতে পারে। উল্লেখযোগ্য, দেশে ৯০ কোটিরও বেশি প্রিপেইড মোবাইল গ্রাহক রয়েছে।

জানা গেছে যে এতে জম্মু ও কাশ্মীরে যাওয়া গ্রাহকদেরও সুবিধা হবে। কারণ জম্মু ও কাশ্মীরে অন্য কোনও রাজ্যের প্রিপেইড সিম কাজ করে না।


 

স্বাধীনতা দিবসে বড় ঘোষণা প্রধান মন্ত্রীর

৭৪ বছরের মধ্যে ব্যতিক্রমী স্বাধীনতার দিবসের সাক্ষী গোটা দেশ। তবুও উৎসাহে কোনও ভাটা নেই। এদিন লালকেল্লা থেকে এক দেশ এক রেশন কার্ডের আদলে ‘এক দেশ এক হেলথ কার্ড’ ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি আরও বলেন, “নাগরিকদের মেডিক্যাল ডেটা রাখার জন্য হাসপাতাল, ক্লিনিক, চিকিৎসকদের একটি সার্ভারের সঙ্গে যুক্তকরা হবে৷ তবে এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক নয়, নাগরিক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইলে তবেই তারা এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন৷ এই প্রকল্পে যুক্ত হলে প্রত্যেক নাগরিকের একটি সিঙ্গল ইউনিক আইডি তৈরি হবে৷ এই আইডি দিয়েই লগ ইন করা যাবে৷”

এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন (National Digital Health Mission)-এর আওতায় এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই প্রকল্পে প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য একটিই প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষিত থাকবে৷ এর পাশাপাশি আধার কার্ডের মতো প্রত্যেক নাগরিকের হেলথ আইডি কার্ড তৈরি করা হবে৷ এই তথ্য ভাণ্ডারে চিকিৎসকদের তালিকা সহ দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য থাকবে৷ এই প্রকল্পে প্রত্যেক নাগরিককেই একটি করে হেলথ কার্ড তৈরি করতে হবে৷ ভবিষ্যতে সমস্ত রকমের টেস্টএবং চিকিৎসা করালে তার যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট কার্ডের নম্বরে সংরক্ষিত থাকবে৷


কেন্দ্রের হাতেই থাকবে করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও সরবরাহের দায়িত্ব

করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। সংক্রমণ রুখতে ভারতে কোন ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হবে তা ঠিক হলে করোনার সেই প্রতিষেধক সংগ্রহ থেকে শুরু করে সরবরাহের সব দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই।

কোনও রাজ্য সরকার আলাদা করে করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। করোনার কোন ভ্যাকসিন ভারতে প্রয়োগ করা হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে কেন্দ্রীয় সরকারই দেশের কোনায়-কোনায় সেই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে।

মঙ্গলবার বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা করে রাশিয়া। পুতিনের দেশে তৈরি ওই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়ার পরেই ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে ভারত।

যদিও ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক করোনার প্রতিষেধক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছে। বুধবার সেই দলের বৈঠকে ছিলেন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ভি কে পাল। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ-সহ বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

করোনার কোন ভ্যাকসিন ভারতে প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হলে কীভাবে তা সংগ্রহ ও বণ্টন করা হবে তা নিয়ে বৈঠক হয়। ভারতের প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষার স্বার্থেই ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বণ্টনে বাড়তি তৎপরতা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সম্ভাব্য ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। ঠিক হয়েছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে তা সংগ্রহ ও সরবরাহের দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই। দেশের কোনও রাজ্য নিজেদের মতো করে সম্ভাব্য ওই ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারবে না।

কেন্দ্রীয় সরকার দেশের কোনায়-কোনায় সেই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে। করোনার ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছে বিশেষজ্ঞ দল।

কোন ভ্যাকসিন দেশ গ্রহণ করবে সেটা ঠিক করবে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপ অন ইমিউনিজেশন। করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দেশীয় সংস্থার পাশাপাশি বিদেশী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েও ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরির কাজ চালাবে ভারত।

লক্ষ্মীবারেই বড় ঘোষণা মোদীর, উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার কর সংস্কারের কথা ঘোষণা করবেন স্বচ্ছ কর ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে। এর লক্ষ্য হল সহজে কর জমা এবং তা ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে সৎ করদাতাদের সুবিধা দেওয়া।এই প্লাটফর্ম চালু করা হবে কর সংস্কারের যাত্রাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। করদাতাদের সুবিধার্থে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্টর ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) যেসব পদক্ষেপ নেবে সেগুলি অনুসরণ করেই তা করা হবে।

সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে সিবিডিটি প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বড়োসড়ো সংস্কার করেছে। যার মধ্যে রয়েছে গতবছর কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা‌ হয়েছে বর্তমান কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে এবং ১৫ শতাংশ করা হয়েছে নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের জন্য।

ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স তুলে দেওয়া হয়েছে। কর সংস্কারের ফোকাস হল করের হার কমানো এবং প্রত্যক্ষ কর আইন সরলীকরণ করা। আয়কর দপ্তরের কার্যক্ষমতা দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে সিবিডিটি। যার মধ্যে রয়েছে ডকুমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (ডি আই এন) এবং প্রিফাইলিং ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন । এর মাধ্যমে করদাতাদের কাজ আরও সহজ হবে।

নতুন স্টার্টআপ সংস্থাদের জন্য এই কাজ অনেক সরলীকরণ করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে ‘বিবাদ সে বিশ্বাস অ্যাক্ট ২০২০’ আনা হয়েছে কর সংক্রান্ত বিবাদ মেটানোর উদ্দেশ্যে। করদাতাদের ক্ষোভ যা বিভিন্ন অ্যাপিলেট কোর্টে রয়েছে তা কমিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত,লকডাউন শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা সংকট মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। ‌ তার ঠিক পরেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একগুচ্ছ ঘোষণা করেন যার মধ্যে ছিল আয়ের উৎস থেকে কর কাটা (টিডিএস) এবং সূত্রে আদায় করা কর (টিসিএস) ছাড়ের কথা।

তখন প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি) এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তবে মনে রাখা দরকার টিডিএস টিসিএস কম কাটার অর্থ এই নয় যে আয় বাড়ছে। সরকারের ওই পদক্ষেপের ফলে করদাতাদের হাতে বাড়তি নগদের ব্যবস্থা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে করদাতাদের কাছ থেকে কর বাবদ টাকা কেটে নেওয়া হয়।

তারপর বছরের শেষে মোট আয়ের হিসেব করে বাকি কর দিয়ে দেওয়া হয় । আর যদি কোন কারণে বেশি কর দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে রিটার্ন ফাইলের সময় সে কথা জানিয়ে রিফান্ডের আবেদন করে থাকেন করদাতারা।

ফের রাজ্যে লকডাউনের দিন পরিবর্তন করল সরকার, দেখে নিন নয়া সূচি

ফের লকডাউনের দিনক্ষণ বদল করল রাজ্য সরকার। নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৮ আগস্ট লকডাউন থাকছে না। ব্যাংকের কাজকর্মে অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য। চলতি মাসে ২০, ২১, ২৭ ও ৩১ আগস্ট বাংলায় সম্পূর্ণ লকডাউন থাকছে। তবে এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, ২৮ আগস্ট টিপিসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। ওই দিন লকডাউন প্রত্যাহারে আবেদন আগেই করা হয়েছিল। বিরোধীরা বলছেন, ঘুরিয়ে সেই আরজিকেই মান্যতা দিল রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই বারবার লকডাউনের দিন পরিবর্তন করায় সমস্যায় পড়েছে আমজনতা। এর আগে দুদফা দিন বদল হয়েছিল।
ফের লকডাউনের দিনক্ষণ বদল করল রাজ্য সরকার। নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৮ আগস্ট লকডাউন থাকছে না। ব্যাংকের কাজকর্মে অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য। চলতি মাসে ২০, ২১, ২৭ ও ৩১ আগস্ট বাংলায় সম্পূর্ণ লকডাউন থাকছে। তবে এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, ২৮ আগস্ট টিপিসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। ওই দিন লকডাউন প্রত্যাহারে আবেদন আগেই করা হয়েছিল। বিরোধীরা বলছেন, ঘুরিয়ে সেই আরজিকেই মান্যতা দিল রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই বারবার লকডাউনের দিন পরিবর্তন করায় সমস্যায় পড়েছে আমজনতা। এর আগে দুদফা দিন বদল হয়েছিল।

বড়বাজারে ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে ২০টি ইঞ্জিন

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কলকাতার বড়বাজারে।

বহুতলে রয়েছে একাধিক অফিস ও ব্যাংকের শাখা। ভেঙে পড়েছে বহুতলের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের শেড। ভেতরে কেউ আটকে রয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও উদ্ধারকারী দল।

আগামী ২৪ ঘন্টায় ফের রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা

উত্তরবঙ্গে কোথাও কোথাও আজ রবিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গে মূলত দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

রবিবার মালদহ ও দুই দিনাজপুরে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আবহাওয়াবিদরা আরও জানাচ্ছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ সোমবার দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়িতে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ারেও। এদিকে এদিন একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে হাওয় আওফিস। সেই অনুযায়ী সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। বৃষ্টিও অল্প বিস্তর শুরু হয়েছে।

হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল উত্তর ও সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর নিম্নচাপ তৈরি হবে। এর জেরে পূর্ব ও মধ্য ভারতের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ওডিশা ও ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। পাশাপাশি হাওয়া অফিস এও জানাচ্ছে যে মৌসুমী অক্ষরেখাও দক্ষিণবঙ্গের উপর অবস্থান করছে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

উত্তরবঙ্গে কোথাও কোথাও আজ রবিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গে মূলত দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

রবিবার মালদহ ও দুই দিনাজপুরে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আবহাওয়াবিদরা আরও জানাচ্ছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ সোমবার দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়িতে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ারেও। এদিকে এদিন একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে হাওয় আওফিস। সেই অনুযায়ী সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। বৃষ্টিও অল্প বিস্তর শুরু হয়েছে।

হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল উত্তর ও সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর নিম্নচাপ তৈরি হবে। এর জেরে পূর্ব ও মধ্য ভারতের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ওডিশা ও ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। পাশাপাশি হাওয়া অফিস এও জানাচ্ছে যে মৌসুমী অক্ষরেখাও দক্ষিণবঙ্গের উপর অবস্থান করছে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

সম্প্রীতির বাংলা, বারাসাতে রামের পুজো করলেন মুসলিমরা!

সব অপেক্ষার অবসান। ধূমধাম করে অযোধ্যায় হয়ে গেল রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে সামনে থেকে উপস্থিত থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাতে দিয়েই হয়ে শিলান্যাস। অনুষ্ঠানের সময় নিজের বক্তৃতায় স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে রাম মন্দির আন্দোলনের তুলনা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, বুধবার তিনি বিশ্বজুড়ে রামের প্রাসঙ্গিকতার বিষয়টিও তুলে ধরেন। ভারত তথা বিশ্ব, এমনকী মুসলিম প্রধান দেশেও রামায়ণের অস্তিত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। আর সেখানেই যেন সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিল বাংলার মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ।
বুধবার অযোধ্যায় যখন ধূমধামের সঙ্গে চলছে ভূমিপুজো, তখন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নতুনপল্লিতে হিন্দু মুসলমান উভয় ধর্মের মানুষই একযোগে রামের পুজো করলেন। তাঁদের কথায়, রাম কোনও বিশেষ ধর্মের প্রতিভূ নন। রাজা হিসেবে রামচন্দ্রের প্রধান ধর্ম হল দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। নতুনপল্লির স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব আহমেদ খানের নেতৃত্বে আয়োজিত হয়েছিল ওই পুজো। অবশ্য রাজীব আহমেদ খান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি। ফলে এর সঙ্গে বিজেপির নাম জুড়ে গেলেও হিন্দু-মুসলিম একযোগে রাম পুজো করছে, বিষয়টির প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষও।
শুধু রাজীব আহমেদ খানই নন, বিজেপি কর্মী মোহম্মদ বাবলু মোল্লা ও রহিম মণ্ডলদের পাশাপাশি বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বীও এই পুজোয় যোগদান করেছিলেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার এ এক অনন্য নজির হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এদিন নিজের ভাষণেও প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'রাম ঐক্যের প্রতীক। যেভাবে ভগবান রামের জন্যে জয় পেতে সকলে একসঙ্গে এত বছর ধরে চেষ্টা করেছেন, যেভাবে সকলে স্বাধীনতার লড়াইয়ে গান্ধীজির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই আজ দেশবাসীর প্রচেষ্টায় রামমন্দির তৈরির কাজ শুরু হল।'
অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সরাসরি রাম মন্দির প্রসঙ্গে কিছু না বললেও ট্যুইটে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে লেখেন, 'হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান -একে অপরের ভাই-ভাই! আমার ভারত মহান, মহান আমার হিন্দুস্তান! আমাদের দেশ তার চিরায়ত বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে, এবং আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষিত রাখব।' রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর আবহে সেই সম্প্রীতির ছবিটাই যেন ফুটে উঠল। হয়ত তা একটি জায়গাতেই, কিন্তু সেটারও প্রশংসা অবশ্যই প্রাপ্য।

ফুলে ঢাকা মহম্মদ রাফির পা ধরে অঝোরে কেঁদে চলেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী - কিশোর কুমার

১৯৪৪ সালে, দেশ ভাগের আগে লাহোর থেকে একটি অল্প বয়েসী ছেলে বোম্বে এসেছে বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক নওশাদ সাহেবের পরিচালনায় গান গাইতে। নওশাদ সাহেব এই গায়কের কণ্ঠ শুনে মুগ্ধ - চারটে অক্টেভে এর গলা খেলে অনায়াসে। 
.
একদিন রেকর্ডিং করতে অনেক রাত হয়েছে। নওশাদ সাহেবে রেকর্ডিং ষ্টুডিও থেকে বেরিয়ে দেখলেন সামনের একটা বাস স্টপের বেঞ্চে বসে আছে সেই গায়ক। নওশাদ তাকে জিজ্ঞেস করলেন এত রাতে সে বেঞ্চে বসে কেন ? ছেলেটি একটু অপ্রস্তুত হয়ে জবাব দিলো তার পকেটে পয়সা নেই তাই সে ভেবেছে রাতটা এই বেঞ্চেই কাটিয়ে দেবে। সকালেই তো আবার রেকর্ডিং। নওশাদ সাহেবে তাকে বললেন পয়সা নেই তো চেয়ে নিলেই তো পারতো । 
.
ছেলেটি বললো তার গানের রেকর্ডিং এখনো শেষ হয়নি আর কাজ শেষ না করে পারিশ্রমিক সে কিছুতেই চাইতে পারবে না। তার সে উত্তরে নওশাদ সাহেবের চোখে জল এসেছিলো। ছেলেটিকে বুকে জড়িয়ে ধরে তিনি বলেছিলেন এই সততা আর ইমানদারি নিয়ে যদি সে চলতে পারে তাহলে "জব্ তক সুরাজ চাঁদ রাহেগা, বেটা তেরা নাম রাহেগা" !   
.
ছেলেটির নাম - মহম্মদ রফি !
.
পারিশ্রমিক নিয়ে রফি সাহেব ছিলেন বরাবরই উদাসীন । ১৯৬৮ তে প্রোডিউসার জয় মুখার্জী (কাজলের কাকা) "হামসায়া" নামে একটি ছবি বানিয়েছিলেন । ছবিটি সুপার ফ্লপ করেছিল কিন্তু সে ছবিতে রফির গাওয়া "দিল কি আওয়াজ ভি সুন্" গানটি সুপারহিট হয়েছিল । ছবিটি করে জয় মুখার্জী সর্বস্বান্ত হয়েছেন শুনে রফি সাহেব সে ছবির থেকে পাওয়া পারিশ্রমিকটি খামে ভরে জয় মুখার্জীকে ফেরত দিতে গেলেন । জয় মুখার্জী তো সে টাকা কিছুতেই নেবেন না । স্বল্পভাষী রফি সাহেব নাকি টাকার খামটি জয় মুখার্জী-র জামার পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে মৃদু হেসে বলেছিলেন "কাভি দিল কি আওয়াজ ভি সুন্"!      

.
অর্থ লোভ মহম্মদ রফির ছিল না আর এজন্য তাকে সঙ্গীত জীবনে অনেক ক্ষতি-ও স্বীকার করতে হয়েছে।  সঙ্গীত শিল্পীদের রয়্যালটির দাবিতে যখন সরব হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর, তখন মহম্মদ রফি প্রকাশ্যে লতা মঙ্গেশকরের বিরোধিতা করেন। তার বক্তব্য ছিল গানটা গাওয়ার জন্য একবার তো পারিশ্রমিক পেয়েছি, তাহলে সেটার জন্য বার বার অর্থ চাইবো কেন ? এই বিরোধিতার জন্য লতা মঙ্গেশকর প্রায় তিন বছর রফি সাহেবের সঙ্গে কোনো ডুয়েট গান নি। কিছুদিন আগে সেই লতা মঙ্গেশকরকেই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল উনি আজকাল কার গান শোনেন। লতা মঙ্গেশকর উত্তর দিয়েছিলেন - রফি সাহেবের, ভজন ! 
.

এই ভজন গাওয়ার সময় যাতে তার সংস্কৃত শব্দ উচ্চারণ নির্ভুল হয় সেজন্য "বিজু বাওরা" ছবিতে ভজন রেকর্ডিং এর আগে এক কাশীর পন্ডিতের কাছে রীতিমতো সংস্কৃতের পাঠ নিয়েছিলেন রফি সাহেব - এমনই ছিল তার সংগীতের প্রতি আত্মনিবেদন !
.
সাধে কি খ্যাতির মধ্যগগনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কিশোর কুমারকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তিনি কার গান শোনেন - কিশোর কুমার অকপটে বলেছিলেন মহম্মদ রফির আর সেই একই প্রশ্ন যখন রফি সাহেবকে করা হয়েছিল তিনি বলেছিলেন "মান্না দা-র" ! 
.
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও রফি সাহেব কিশোর কুমারের জন্যও গান গেয়েছেন  - রাগিনী ও শারারাত ছবিতে রফির গাওয়া গানে লিপ দিয়েছিলেন অভিনেতা কিশোর কুমার ! 
.
রফি সাহেব নিজেই বলে গেছেন কিশোর কুমারের গাওয়া তার সবচেয়ে প্রিয় গান হলো "মিস্টার ফানটুশ" ছবি থেকে "দুখী মন মেরে, সুন্ মেরে কেহনা" । এ গান কিশোর ছাড়া আর কেউ গাইতে পারতো না বলেই তার ধারণা।
.
৬০ এর দশকের শেষে আরাধনা ছবি দিয়ে কিশোর কুমারের ধূমকেতুর মতো আগমনে এবং সচিন কর্তার পৃষ্ঠপোষকতায় রফির দেড় দশকের সাম্রাজ্য যখন প্রায় যায় যায় - খবরের কাগজওয়ালাও যখন প্রায় রফির সংগীতজীবনের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছেন সেই সময় রাহুল দেব বর্মন একটি এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন। সবার মতো রাহুলদেব বর্মনেরও প্রশ্ন ছিল কে বেশি ভালো - রফি না কিশোর ? 
.
"প্যার কা মৌসম" ছবিতে তিনি "তুম বিন জাউ কাহাঁ" গানটি রেখেছিলেন রফি এবং কিশোরের গলায় আলাদা আলাদা সিচুয়েশনে। রাহুলদেবের মতো কিশোর ভক্ত-ও দেখে অবাক হয়েছিলেন যে রফির গাওয়া ভার্সনটিই সেসময় বেশি পপুলার হয়েছিল !     
.
কাগজওয়ালা যাই বলুক রফি-কিশোরের সম্পর্ক কিন্তু বরাবরই ভালোবাসা-শ্রদ্ধারই থেকে গেছে কেননা রফি সাহেব মানুষটিই এমন খাঁটি আর সদা হাস্যমুখের যে তার প্রতি বিরূপ ভাব পোষণ করা কার্যত অসম্ভব । 
.
HMV একবার রফি সাহেবের দুঃখের গানগুলির একটি সংকলন বের করবে বলে তার একটি দুঃখ দুঃখ মুখের ছবি চায় - অনেক আর্কাইভ, খবরের কাগজওয়ালাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সেরকম কোনো ছবি পাওয়া যায়নি - নিরুপায় হয়েই রফি সাহেবের হাস্যমুখের একটি ছবি দিয়েই  তারা রেকর্ডটি বের করেন এবং সেটিও সুপারহিট হয়েছিল । এই ঘটনায় সবচেয়ে মজা পেয়েছিলেন রফি সাহেব স্বয়ং !       
.    

৩১ সে জুলাই ১৯৮০, রমজানে রোজা রেখেছেন রফি সাহেব । সকালবেলা শরীরটা বেশ খারাপ, কিন্তু তার মধ্যেই তিনি দূর্গা পুজোর রেকর্ডের জন্য অভ্যাস করছেন একটি বাংলা গান - শ্যামা সঙ্গীত ।. হঠাৎ ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক । হাসপাতালে পৌঁছনোর কিছুক্ষনের মধ্যেই খবর এলো চির নিদ্রায় চলে গেছেন বলিউডের তানসেন - রোজা রাখা এই সাচ্চা মুসলমান মানুষটি যখন শ্যামা সঙ্গীত গাইতে গাইতে মহাসিন্ধুর ওপারে চলে গেলেন, তখন বাইরে তখন নেমেছে প্রবল শ্রাবনের ধারা ।
.
এরকম আকাশ ভাঙা বৃষ্টি অনেকদিন দেখেনি বোম্বে কিন্তু সেই দুর্যোগের মধ্যেই বেরিয়েছিল স্মরণকালের সচেয়ে বড় মিছিল আর সে রেকর্ড আজও ভাঙেনি । অন্তত ২০ হাজার রফি ভক্ত এক আকাশ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন রফি সাহেব কে শেষ বিদায় জানাতে -কোনো সঙ্গীতশিল্পী মারা যাবার পর সেটাই আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মিছিল কেননা এই মানুষটি যে ছিলেন অজাতশত্রু । 
.
কে ছিলেন না সেই মিছিলে ? রাজ্ কাপুর, দিলীপ কুমার থেকে অমিতাভ বচ্চন । লতা মঙ্গেশকর থেকে কিশোরে কুমার । সে মিছিলে কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে যান রফি সাহেবের সেক্রেটারি জাহির । রফি সাহেব সারা জীবন যত দান ধ্যান করেছেন তা সবই জাহিরের নামে । নিজের নাম কখনো প্রকাশ করেননি । জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিয়েছেন "দেনেওয়ালা ম্যায় কৌন হুঁ ? সব উপরওয়ালা"।   
 
.
সে বৃষ্টিস্নাত বিষন্ন বিকেলে বান্দ্রার মসজিতে তখন তিল ধরণের জায়গা নেই । পুলিশ গেট বন্ধ করে দিয়েছে । কুছ পরোয়া নেহি - ১০ ফুট উঁচু পাঁচিল বেয়ে কাতারে কাতারে মানুষ তখনও চেষ্টা করে যাচ্ছেন মসজিদে ঢোকার । তাদের জামা প্যান্ট ছিঁড়েছে, জুতো-চটি খুলে পড়ছে, হাত পা কেটে রক্তে পাঁচিল লাল হয়ে গেছে কিন্তু তাদের সামলানো যাচ্ছে না । পুলিশ দুবার লাঠি চার্জ করে হাল ছেড়ে দিয়েছে ।
    
.            
সেখানেই সেই বিখ্যাত ছবিটি তোলেন স্টেটসম্যান পত্রিকার এক চিত্র সাংবাদিক যা পরদিন কাগজের প্রথম পাতায় বেরিয়েছিল । ফুলে ফুলে ঢাকা মহম্মদ রাফির দেহ মসজিতে শোয়ানো আর তার পা ধরে অঝোরে কেঁদে চলেছেন তার সংগীতজীবনের সব চেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী - কিশোর কুমার আর কী আশ্চর্য ! সে ছবিতে দেখা যাচ্ছে মৃত্যুর পরেও রফি সাহেবের মুখে তার সেই চিরন্তন হাসিটিই লেগে রয়েছে ।

.
রফি সাহেবের মৃত্যুর পরদিন ভারতে দেড় লক্ষ আর পাকিস্তানে ৫ লক্ষ মানুষ অরন্ধন দিবস পালন করেন। লাহোর রেডিও স্টেশন সব অনুষ্ঠান বাতিল করে সারা রাত শুধু রফি সাহেবের গান বাজিয়েছিল। শ্রোতাদের অনুরোধে সে অনুষ্ঠানটি আরো ১২ ঘন্টা বাড়াতে হয়েছিল।

১৯৮০ তে রফি সাহেবের পুজো-র গানের রেকর্ড বের হয়নি কিন্তু কিশোর কুমারের বেরিয়েছিল । সেখানে গীতিকার মুকুল দত্তকে বিশেষ অনুরোধ করে একটি গান লিখিয়ে সেটি গেয়েছিলেন কিশোর কুমার। গানটির সুর দিয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় । সেটাই ছিল রাফি সাহেবের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও তার সচেয়ে বড় ভক্তের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ।

আজও পুরোনো না হওয়া সুপার ডুপার হিট সেই গানটি ছিল  :
 
“সে যেন আমার পাশে আজও বসে আছে
চলে গেছে দিন তবু আলো রয়ে গেছে

যেখানে প্রদীপ ছিল সেখানে আঁধার
নয়নের জল হয়ে ফিরে এল সে আবার

কোন তারা নেই আজ আকাশের গায়
আলেয়ার আলো এসে আলো দিয়ে যায়”

প্রণাম রফি সাহেব !

আগামী দুদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা। অসহ্য গরম থেকে কি মুক্তি পেতে চলেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ? তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপের ফলে ৪ এবং ৫ তারিখ কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। কয়েকটি জেলায় হলুদ সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। সুন্দরবন এলাকা থেকে শুরু করে কলকাতা সব জায়গায় জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনার রয়েছে। ফলে গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি মিললেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ''দুদিনই দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে নদীয়া, বীরভূম ,দুই মেদিনীপুর , দুই ২৪ পরগনা , হাওড়া এবং হুগলিতে। বাকি জেলাগুলোতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। ৫ অগস্ট অর্থাত বুধবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি হবে।''
যেহেতু উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপ তৈরি হবে তাই মৎস্যজীবীদের ৪ এবং ৫ তারিখ  সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।  যারা মাছ ধরতে বেরিয়ে গেছেন তাদের ৪ তারিখ সকালের মধ্যে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গে পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিংম্প, আলিপুরদুয়ারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং নিচের তিনটে জেলা মালদা ও দুই দিনাজপুর মোটামুটি হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো বেলুড় মঠ

করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে ফের বন্ধ হয়ে গেল বেলুড় মঠ। শনিবার এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে মঠের তরফে। রবিবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকছে মঠ।

উল্লেখ্য গত ২৫ মার্চ থেকে টানা ৮২ দিন লকডাউনে বন্ধ থাকার পর গত ১৫ জুনে খুলেছিল বেলুড় মঠ। নিয়ম বিধি মেনে মঠের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। তবে ১৮ দিন পরে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হচ্ছে প্রধান গেট।

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ জানান, “একাধিক কারণে ২ অগস্ট থেকে পুনরায় না জানানো অবধি মঠ বন্ধ রাখা হচ্ছে।” তিনি আশা করছেন, ভক্তরা অসুবিধার কথা বুঝে সহযোগিতা করবেন।

মনে করা হচ্ছে, মঠের সন্ন্যাসী, কর্মী সহ দর্শনার্থীদের কথা চিন্তা করেই অনির্দিষ্টকালের জন্য মঠ বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

লকডাউনের পরে ১৫ জুন থেকে বেলুড় মঠ খুললেও মানতে হচ্ছিল কড়া নিয়ম। মাস্ক পড়ে তবেই মিলছিল প্রবেশের অনুমতি। এছড়া মূল প্রবেশ গেটে ঢোকার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর করা হচ্ছিল থার্মাল স্ক্রিনিং ও স্যানিটাইজিং। এরপরেই ঢোকা যাচ্ছিল ভেতরে। দিনে দু’বার করে পুর মাঠ জীবাণুমুক্ত করার কাজও চালানো হচ্ছিল।
তবে এবার সেই রিস্কও নিতে চাইল না মঠ কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না মেলা অবধি আপাতত বন্ধ বেলুড় মঠ।

আপনার কেনা স্যানিটাইজারটি কি নকল? নিজেই দেখে নিন বাড়িতে বসে

করোনার আবহে দুটি জিনিসের গুরুত্ব ভীষনভাবে বেড়ে গেছে। একটি হল মাক্স অপরটি হলো স্যানিটাইজার। নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে এই দুটি জিনিসের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে বর্তমানে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে স্যানিটাইজারের চাহিদা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারণে, মার্কেটে নকল ও নিম্নমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি আরও বেড়ে গেছে।

তবে যে কোনও হ্যান্ড স্যানিটাইজারে কাজ হবে না। করোনা থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে হবে এমন সব হ্যান্ড স্যানিটাইজার যেগুলিতে অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ৬০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালকোহল থাকে শুধুমাত্র সেগুলিই এই পরিস্থিতিতে আমাদের হাত জীবানু মুক্ত করতে সক্ষম। নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ছেয়ে গিয়েছে বাজার।

বাজার থেকে কেনা সব হ্যান্ড স্যানিটাইজার এখন নিরাপদ নয়। সবকটির গায়েই ৬০-৭০ শতাংশের বেশি অ্যালকোহলের উপস্থিতির দাবি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল, তারা যে স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন তা আসল কিনা তা শনাক্ত করা। তাহলে কী ভাবে চিনবেন কোন হ্যান্ড স্যানিটাইজার সবচেয়ে কার্যকর, নিরাপদ বা ‘খাঁটি’! কীভাবে আপনি বুঝবেন আপনার কেনা হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি আসল না নকল?

টিস্যু পেপার টেস্ট :-

স্যানিটাইজার আসল না নকল বুঝতে একটা টিস্যু পেপার নিন। এরপর একটি কলম দিয়ে টিস্যু পেপারের মধ্যে একটি বৃত্ত আঁকুন। পরিবৃত্তের মধ্যে কয়েক ফোঁটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ফেলে দিন। যদি পেনের কালি ম্লান হতে শুরু করে আর সাথে সাথে অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে বুঝবেন আপনার হ্যান্ডস্যানিটাইজার টি নকল।
আর যদি দেখেন বৃত্তটি যেমন ছিল ঠিক তেমনি আছে আর কাগজটি ও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনার হ্যান্ড স্যানিটাইজার টি একদম ঠিকঠাক আছে।

ময়দা টেস্ট :-

আপনার হ্যান্ডস্যানিটাইজারটি আসল না নকল এটা জানার জন্য একটা জায়গায় কিছুটা ময়দা নিন এবং এতে কিছুটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিন।এরপর ময়দা টি ভাল করে মাখুন।আপনি যদি দেখেন খুব সহজেই ময়দাটি মাখা হয়ে যাচ্ছে  ঠিক যেমন করে জল দিয়ে মাখলে হয়, তাহলে বুঝবেন আপনার কেনা হ্যান্ড স্যানিটাইজার টি নকল।

হেয়ার ড্রায়ার টেস্ট :-

আপনার কেনা হ্যান্ড স্যানিটাইজার টি আসল না নকল এটা জানার জন্য একটা বাটিতে কয়েক ফোঁটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ঢেলে নিন। এরপর হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে স্যানিটাইজার টি শুকানোর চেষ্টা করুন।
স্যানিটাইজার টি যদি আসল হয় তাহলে এটি ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই শুকিয়ে যাবে। আর স্যানিটাইজার টি যদি না শুকোয়  তাহলে বুঝে যাবেন এটি নকল।

কলকাতায় করোনা পরীক্ষায় জাল চক্র, গ্রেফতার 3 অভিযুক্ত

করোনা (Coronavirus) আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। তার মাঝেই মাথাচাড়া দিচ্ছে কিছু প্রতারণা চক্র। সদ্যই কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ভেজাল স্যানিটাইজার (Sanitizer) বিক্রেতারা। এবার সামনে এল কোভিড পরীক্ষার নামে প্রতারণা চক্র। এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের অভিযোগের ভিত্তিতে নেতাজিনগর থানার পুলিশ এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারও করেছে।
দিনকয়েক আগে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি হতে যান এক করোনা রোগী। তিনি কোভিড পরীক্ষার একটি রিপোর্ট দেখান ওই হাসপাতালে। সেই রিপোর্টে থাকা একটি নম্বর দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ জানানো হয় নেতাজিনগর থানায়। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখে। তদন্তও শুরু হয়। তাতেই সামনে আসে তিনজনের নাম। তাদের মধ্যে একজন এসএসকেএম এবং একজন আরজি কর হাসপাতালের ল্যাবরেটরির চুক্তিভিত্তিক কর্মী।পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। প্রথমে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে। যদিও পরে সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেয় ওই তিনজন। ঠিক কীভাবে অসহায় রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে প্রতারণা করত তারা, তাও জেরায় স্বীকার করে নেয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন আইসিএমআরের করোনা পরীক্ষার একটি ফর্ম চুরি করে। সেই ফর্মই জেরক্স করে রমরমিয়ে প্রতারণা চক্র চালিয়ে যাচ্ছিল। বিভিন্ন হাসপাতালে ঘোরাফেরা করে রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করত ওই অভিযুক্তরা। কম খরচে কোভিড টেস্ট করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিত। কোনও কোনও রোগী এবং রোগীর পরিবার তাদের কথায় রাজি হয়ে যেত। আর তারপরই তাদের ভুয়ো রিপোর্ট দিত ওই ধৃতরা। এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওই রিপোর্ট দেখে সন্দেহ হওয়ার ফলেই সামনে এল প্রতারণা চক্র। শুধু এই তিনজন নাকি প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।