দিনকয়েক আগে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি হতে যান এক করোনা রোগী। তিনি কোভিড পরীক্ষার একটি রিপোর্ট দেখান ওই হাসপাতালে। সেই রিপোর্টে থাকা একটি নম্বর দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ জানানো হয় নেতাজিনগর থানায়। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখে। তদন্তও শুরু হয়। তাতেই সামনে আসে তিনজনের নাম। তাদের মধ্যে একজন এসএসকেএম এবং একজন আরজি কর হাসপাতালের ল্যাবরেটরির চুক্তিভিত্তিক কর্মী।পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। প্রথমে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে। যদিও পরে সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেয় ওই তিনজন। ঠিক কীভাবে অসহায় রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে প্রতারণা করত তারা, তাও জেরায় স্বীকার করে নেয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন আইসিএমআরের করোনা পরীক্ষার একটি ফর্ম চুরি করে। সেই ফর্মই জেরক্স করে রমরমিয়ে প্রতারণা চক্র চালিয়ে যাচ্ছিল। বিভিন্ন হাসপাতালে ঘোরাফেরা করে রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করত ওই অভিযুক্তরা। কম খরচে কোভিড টেস্ট করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিত। কোনও কোনও রোগী এবং রোগীর পরিবার তাদের কথায় রাজি হয়ে যেত। আর তারপরই তাদের ভুয়ো রিপোর্ট দিত ওই ধৃতরা। এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওই রিপোর্ট দেখে সন্দেহ হওয়ার ফলেই সামনে এল প্রতারণা চক্র। শুধু এই তিনজন নাকি প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কলকাতায় করোনা পরীক্ষায় জাল চক্র, গ্রেফতার 3 অভিযুক্ত
করোনা (Coronavirus) আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। তার মাঝেই মাথাচাড়া দিচ্ছে কিছু প্রতারণা চক্র। সদ্যই কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ভেজাল স্যানিটাইজার (Sanitizer) বিক্রেতারা। এবার সামনে এল কোভিড পরীক্ষার নামে প্রতারণা চক্র। এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের অভিযোগের ভিত্তিতে নেতাজিনগর থানার পুলিশ এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারও করেছে।