আনলক পর্বের গোড়া থেকেই দেশজুড়ে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। তবে দ্রুত করোনা রোগী চিহ্নিতকরণের জন্য জোর দেওয়া হয় ট্র্যাকিং, ট্রেসিং ও টেস্টিংয়ে। সেই সঙ্গে বাংলা-সহ একাধিক রাজ্য সংক্রমণের চেন ভাঙতে সপ্তাহে এক কিংবা দু’দিন করে পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আগস্ট মাসে সেই নিয়ম অনুসরণ করে সপ্তাহে সর্বোচ্চ দু’দিন করে পূর্ণ লকডাউন হয়েছে। রাজ্য সরকারের ঘোষিত দিন অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্ট চলতি মাসের শেষ পূর্ণ লকডাউনের দিন। আবার ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। তার মধ্যে ৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর থাকবে পূর্ণ লকডাউন। কিন্তু এরই মধ্যে কেন্দ্রের ঘোষণায় তৈরি হল ধন্দ।
কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কনটেনমেন্ট জোনের (Containment Zone) বাইরে স্থানীয় লকডাউনের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। কোনও রাজ্যের কোনও জেলা কিংবা শহর অথবা গ্রামও নিজেদের মতো করে সংক্রমক এলাকার বাইরে লকডাউন জারি করতে পারবে না। তার জন্য আগেভাগে কেন্দ্রকে জানাতে হবে। মোদি সরকার অনুমতি দিলে তবেই লকডাউন ঘোষণা করা যাবে। তাই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আগামী ৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে লকডাউন হবে না? রাজ্য সরকারের তরফে এ নিয়ে বিবৃতি দিলে তবেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
দেশজুড়ে চলছে আনলক পর্ব। অর্থাৎ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে দেশকে ফেরাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। শপিং মল থেকে ধর্মীয় স্থান- ইতিমধ্যেই ছাড় পেয়েছে এই ক্ষেত্রগুলি। শনিবার নয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে মেট্রো রেল পরিষেবা। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া সর্বত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তাদের উপর নজর রাখতে হবে। সামাজিক, শিক্ষামূলক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বিনোদনমূলক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০০ জন করে জমায়েত হতে পারবেন। তবে আপাতত খুলছে না সিনেমা হল, থিয়েটার, বিনোদন পার্ক ও সুইমিং পুল।