জানা গিয়েছে, ১৫ লক্ষ পেনশনভোগীকে এ বছর ৫৩ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে রেলকে। এছাড়া রয়েছে কর্মীদের বিপুল অঙ্কের বেতনও। মন্দার মারে রেলমন্ত্রকের পক্ষে এই অর্থ দেওয়া সম্ভব হবে না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রকের মিটিংয়ে অর্থমন্ত্রকের কাছে এই পেনশনের টাকা জোগান দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। সূত্রের খবর, রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নে ১২০ লক্ষ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণের অর্থ রেলের হাতে নেই। পাশাপাশি, ১৩ লক্ষ কর্মীর বেতন ও ১৫ লক্ষ অবসরপ্রাপ্তকে পেনশন দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে যে অর্থের প্রয়োজন তা রেলের ফান্ডে নেই।
পরিকাঠামোর উন্নয়নে বরাদ্দ অর্থ থেকে বেতন ও পেনশন দিলে নির্ধারিত প্রকল্প মার খাবে বা বন্ধ হয়ে যাবে। রেলমন্ত্রকের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, অন্তত এবছরের পেনশন অর্থমন্ত্রক দিক।
এদিকে, রেলমন্ত্রকের এই বার্তায় তীব্র অসন্তোষ ছাড়িয়েছে রেলকর্মীদের মধ্যে। পেনশনভোগীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষের কথায়, রেলকে কোথায় এনে ফেলেছে কেন্দ্র সরকার। লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছিল। এখন আর কোনও আয় নেই। যাত্রীবাহী ট্রেনে তেমন আয় হয় না। ৪৩ শতাংশ সাবসিডি দিতে হয় রেলকে। যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধে সেই টাকা বেঁচে গিয়েছে। শ্রমিক স্পেশ্যাল চালিয়ে ৪৩৯ কোটি টাকা আয় হয়েছে। পণ্য পরিবহণ বাড়িয়ে আয়ের ভারসাম্য রাখার চেষ্টা হচ্ছে। আগামী দু’বছর পণ্য থেকে আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারপরেও আয় হচ্ছে না রেলের। এই বিষয় খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।