জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সপ্তাহে দুদিন করে গোটা রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু গোটা দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাতেও লাগামছাড়া হয়ে উঠছে করোনা পরিস্থিতি। তাই পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে ফের কেন্দ্র-রাজ্য যৌথভাবেই যে করোনার মোকাবিলা করতে হবে, তা বুঝেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও।
তাই এর আগে কথা বলার সুযোগ পান না বলে প্রধানমন্ত্রীর করোনা-সংক্রান্ত বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। উল্লেখ্য, এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে বারবার প্রকাশ্যেই ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী যে বার বৈঠকে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি, সেখানেও এ রাজ্যে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর শেষ বৈঠকে নবান্নে যে তালিকা দিল্লি থেকে পাঠানো হয়েছিল, তাতে ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে বলার সুযোগ পেয়েছিল মাত্র ১৩টি রাজ্য, যার মধ্যে ছিল না পশ্চিমবঙ্গের নাম। এর কোনও ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় সরকারও দেয়নি। ফলে সেই বৈঠকে প্রশাসনিক কর্তাদের পাঠালেও নিজে উপস্থিত থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী বিজেপি যেমন রাজ্য সরকারের করোনা-মোকাবিলা নিয়ে নিত্যদিন আক্রমণ শানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীও কেন্দ্রের অসহযোগিতা, লকডাউন নিয়ে নীতিহীনতা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন, হচ্ছেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি মোটেই আগের মতো নেই। গোটা দেশে প্রতিদিন মারাত্মক হারে বাড়ছে সংক্রমণ। মৃত্যুও হচ্ছে প্রায় ৭০০ জন মানুষের। পশ্চিমবঙ্গেও গড়ে ২২০০ জন আক্রান্ত ও প্রায় ৩৫ জন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মতবিরোধ দূরে সরিয়ে আপাতত করোনা মোকাবিলাই প্রথম বিষয় হোক, চাইছে সব শিবিরই। সেই সূত্রেই ২৭ জুলাই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।