২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ফের লকডাউন!‌ কেন্দ্র যা জানাল.‌.‌

কানাঘুষো চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। ফের নাকি লকডাউন হচ্ছে দেশে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এই লকডাউন। সত্যি ফের লকডাউন করছে মোদি সরাকর?‌ কেন্দ্র সম্পূর্ণ অস্বীকার করল এই তথ্য। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (‌পিআইবি)‌ জানাল, এটি ভুয়ো খবর।
জল্পনা শুরু হয়, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (‌এনডিএমএ)‌ ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে। তাদের নির্দেশিকার একটি স্ক্রিনশট অনলাইনে ভাইরাল হয়। ১০ সেপ্টেম্বর তারিখ দেওয়া ওই নির্দেশিকায় লেখা হয়েছে, ‘‌কোভিড–১৯ সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত এবং মৃত্যুর হার রুখতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং প্ল্যানিং কমিশন ভারত সরকারকে অনুরোধ করছে এবং প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরকে নির্দেশ দিচ্ছে যে, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে ফের ৪৬ দিনের লকডাউন করা হোক। জিনিসপত্রে জোগান ঠিক রাখতে মন্ত্রককে তাই আগাম নির্দেশিকা দিচ্ছে এনডিএমএ।’‌
পিআইবি টুইটারে জানিয়েছে, এই নির্দেশিকা ভুয়ো। এনডিএমএ ফের লকডাউন জারির জন্য এ ধরনের কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি। মার্চের শেষ থেকে প্রায় দু’‌মাস দেশে লকডাউন জারি ছিল। তার পরেও করোনা খুব একটা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দুনিয়ায় আক্রান্তের নিরিখে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪৮ লক্ষ। প্রত্যেক দিন নতুন করে ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। 
দেশের সাংসদ, মন্ত্রীরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ক্রমাগত। এদিন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা প্রকাশ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।

পরশুদিন ১২ই সেপ্টেম্বর রাজ্যে হচ্ছেনা লকডাউন

NEET পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে হচ্ছে না লকডাউন। এই সিদ্ধান্তের কথা বৃহস্পতিবার নিজেই টুইট করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পূর্বঘোষণা মতো আগামিকাল অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন চলবে।

রেলে এবার জিরো বেসড টাইম টেবিল, কি এই বিষয়টি

বড়সড় সংস্কারের পথে ভারতীয় রেল। জিরো বেসড টাইম টেবিল তৈরি করছে রেলওয়ে। যদিও এখনও স্বাভাবিক নয় ট্রেন চলাচল। কবে হবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।

যদিও এই পরিস্থিতিতে সমস্ত কাজ সেরে রাখা হচ্ছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিকভাবে শুরু হওয়ার পরই তা কার্যকরী করা হবে। তবে কি এই জিরো বেসড টাইম টেবিল? জিরো বেসড টাইম টেবিল এমন হয় যখন টাইম টেবিল তৈরির সময় ধরে নেওয়া হয়, ট্রাকে কোনও ট্রেন থাকে না।

অর্থাত্, প্রত্যেক ট্রেনের নতুন ট্রেনের মতো সময়সূচী দেওয়া হয়। যেখানে এক-এক করে সমস্ত ট্রেনের চলার সময় নির্ধারণ করা হয়। এতে প্রত্যেক ট্রেনের চলার ও কোনও স্টেশনে থামার নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়, যাতে ওই ট্রেন অন্য কোনও ট্রেনের কারণে লেট না হয় এবং একইসঙ্গে অন্য ট্রেনের সময়সূচীকে প্রভাবিত না করে। সাধারণত জুলাই মাসে নয়া টাইম টেবিল চালু হয়ে থাকে।

কিন্তু করোনার কারণে এই বছর এখনও তা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। আগামিদিনে হওয়া নিয়েও একটা সংশয় রয়েছে। এই অবস্থায় জিরো বেসড টাইম টেবিল আনতে চলেছে রেল। উল্লেখ্য, প্রতি বছরই নতুন ট্রেন শুরু হয়, যেগুলিকে সেই বছরের টাইম টেবিলে জায়গা করে দিয়ে হয়।

এ জন্য প্রতি বছর নতুন টাইম টেবিল তৈরির প্রয়োজন হয়। যদিও নতুন টাইম টেবিলে সামান্য হেরফের হয়ে থাকে। কিছু ট্রেনের সময় ৫ মিনিট থেকে সবচেয়ে বেশি ১৫ মিনিট পর্যন্ত হেরফের করা হয়ে থাকে। লকডাউনের সময় ট্র্যাকের মেরামতি করেছে রেল।

করোনা সংকটের সময় মাত্র ২৩০ স্পেশ্যাল ট্রেনই চলেছে। এ জন্য নতুন টাইম টেবিল চালু করা অনেকটাই সহজ। লকডাউন থেকে এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ লাইন খালি। এই সুযোগে রেল বিভিন্ন ধরনের মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষনের কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এতে ট্রেনের গতি বাড়ানো যাবে। গতি বাড়ার কারণে স্টপেজ কম হওয়ায় গতির ক্ষেত্রে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, যে ট্রেনগুলি লোকসানে দিনের পর দিন ছুটে চলেছে তেমন প্রায় ৫০০ ট্রেন চিহ্নিত করে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। রেল সূত্রে খবর, নয়া টাইম টেবিলে খেয়াল রাখা হয়েছে যাতে বন্ধ ট্রেনগুলির প্রভাব যাত্রীদের ওপর না পড়ে সেজন্যে যাত্রীদের জন্য অন্য ট্রেনের বিকল্প মজুদ থাকবে।

জানা যাচ্ছে, প্রায় ১০ হাজার স্টপেজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এর মধ্যে বেশিরভাগই ধীর গতির প্যাসেঞ্জার ট্রেনের। যে প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির কোনও হল্ট স্টেশনে কমপক্ষে ৫০ যাত্রী ওঠা-নামা রয়েছে, সেগুলি বন্ধ হবে না। কিন্তু যেখানে ৫০-র কম যাত্রী ওঠা-নামা করে, এমন স্টপেজগুলি নয়া টাইম টেবিলে থাকছে না।